মঙ্গলবার, জুন ০৭, ২০১৬

রিং স্পিনিং(Ring Spinning) মেশিন পরিচিতি

                
                                                        Photos:রিং স্পিনিং(Ring Spinning) মেশিন

রিং স্পিনিং(Ring Spinning) মেশিন

১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকান বিজ্ঞানী জন থর্প কর্তিক প্রথম রিং স্পিনিং ম্যাশিনটি আবিষ্কৃত হয় । ১৮৩০ সালে আরেকজন আমেরিকান বিজ্ঞানী মিঃ জেঙ্ক রিং এর উপড় ঘূর্ণায়মান ট্রাভেলার সংযুক্ত করেন যেটির সাহায্যে একই সাথে twisting, winding ও ইয়ারন কে গাইড করা সম্ভব হয় ।তারপর ১৫০ চলে যায় ,এর মাঝে মেশিনটিতে আরও কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধিত হয় , তবে সেগুলো শুধু ট্রাভেলার কেন্দ্রিক পরিবর্তন , মেশিনের মূল কনসেপ্ট অপরিবর্তিত থেকে যায় । মেশিনের উচ্চ গতির কারনে ট্রাভেলারে যে অতিরিক্ত তাপের সৃষ্টি হয় তাকে দূর করা কঠিন কাজ । তাই একথা মাথায় রেখে ট্রাভেলারের গতি একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখা হয় ।
ট্রাভেলার রিং ফ্রেমের খুব চিকন একটি অংশ যেটির সাহায্যে একই সাথে twisting, winding ও ইয়ারন কে গাইড করা হয় ।
উল্লিখিত সমস্যা থাকা সত্তেও রিং ফ্রেম ইয়ারন স্পিনিং এর জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যাবহৃত মেশিন । কারন নতুন উদ্ভাবিত মেশিন (যেমন রটর,এয়ার জেট,ফ্রিকশন ও অয়ারপ স্পিনিং মেশিন ) গুলোর তুলনায় এর কিছু বিশেষ সুবিধা রয়েছে ।
যেমন -
১। এতি এক ধরনের সার্বজনীন স্পিনিং মেশিন । কারন এর দ্বারা যেকোন বস্তুকেই স্পিনিং করা সম্ভব ।
২। ইয়ারনের গঠন বিন্যাস ও দৃঢ়টা দিক দিয়ে সর্বোৎকৃষ্ট মানের ইয়ারন তৈরি হয় ।
৩।এটি খুব সহজ প্রকৃতির মেশিন এবং খুব সহজে পরিচালনা করা যায় ।
৪।এর উৎপাদন ক্রিয়ার হার প্রয়োজন মত বৃদ্ধি করা যায় ।
এসমস্ত কারনে এক রটর স্পিনিং মেশিন বাদে অন্যান্য নতুন স্পিনিং মেশিনগুলো গ্রহণযোগ্যতা অর্জনে বাধার সম্মুখিন হচ্ছে ,তবে নতুন স্পিনিং মেশিনগুলোকে মোটা ইয়ারন তৈরির কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে ।
ইয়ারন ম্যানুফ্যাকচারিং এর মধ্যমে ইয়ারন পেতে কটন বেল কে অনেক গুলো মেশিনের ধাপ পার করতে হয় সেগুলো যথাক্রমে - ব্লো রুম,কারডিং,ড্রইং,সিমপ্লেক্স ও রিং ফ্রেম । রিং ফ্রেম এর আগের ম্যাশিন অর্থাৎ সিমপ্লেক্স এ ইতোমধ্যে ড্রয়িং কৃত স্লাইবার গুলোকে রোভিং ফর্ম করা হয়ে যায় । রিং ফ্রেমে এসে সেই রোভিং গুলোকে প্রয়োজন মত টুইস্ট দিয়ে তাদের স্ট্রেনথ বৃদ্ধি করা হয় এবং মজুদ ও বহনক্ষমের জন্য সুবিধামত ববিনে wind করা হয় ।  
                                                                                                                             Writter: Md:Masud Rana
                                                                                                             

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার দের কাজ কী?

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার দের কাজ কী?
 এরা আসলে কি করে, কেনই বা এদের কে উচ্চবেতনেচাকরি দেয় টেক্সটাইল শিল্পমালিক রা। অনেকেই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার নাম শুনলেই নাক সিটকান, বলেন এইটা কোন ইঞ্জিনিয়ারিং হইল, কাপর-চোপরের আবার কিসের ইঞ্জিনিয়ারিং?শতকরা ৮০ভাগ লোকইজানেন না যে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরি মানে কাপর-চোপরের ইঞ্জিনিয়ারিং না। এটি সম্পূর্ন ম্যানুফ্যাকচারি ং বেসড একটিপ্রসেস যেখানে একজন ইঞ্জিনিয়ার কে মেশিন সেটাপ থেকে শুরু করে প্রসেস কন্ট্রোল, প্রোডাক্ট দেভেলপমেন্ট , গিয়ার মেকানিসম এবং মেইন্টেনেন্স নিয়েকাজ করতে হয়। স্পিনিং এর ইঞ্জিনিয়ার দের প্রোগ্রাম ইনপুট দেয়া জানতে হয়।

 ওয়েট প্রসেসিং ইঞ্জিনিয়ার দের প্রথম সারির কেমিক্যালইঞ্জিন িয়ার হতে হয়। নাসার বিজ্ঞানিরা যারা দীর্ঘদিন যাবত মহাকাশে মানুষ পাঠাতে কাজ করে যাচ্ছেন তারা অসংখ্য টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার দেরগবেষনায় নিযুক্ত করে স্পেস স্যুট এবং ন্যানোফাইবার, কার্বন ফাইবারের শিল্ড তৈরীর জন্য। অতি সম্প্রতি বুয়েট নন-ওভেন জূট টেকনোলজী কে জিও টেক্সটাইল হিসেবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজে ব্যবহার শুরু করেছে, আগামিতে সিভি
ল ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়মিত বিষয় হিসেবে যখন জিও-টেক্সটাইল পড়ানো হবে তখন এই কোর্সের জন্য বাংলাদেশের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার দেরকেই শিক্ষক হিসেবে পাবে তারা।

 সত্যি বলতে কী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টের সাথে সব চেয়েবেশি মিল রয়েছে আইপিই ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাথে। যাই হোক, পেশা হিসেবে অনেকের অ্যালার্জি থাকলেও বাংলাদেশে একমাত্র টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার রাই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে "মেইড ইন বাংলাদেশ " ট্যাগ এ ব্র্যান্ডিং শুরু করেছে। আজকাল অনেক প্রতিষ্ঠান ( যেমন ওয়াল্টন ) দাবি করে তারা নাকি বাংলাদেশকে ব্যান্ডিং করছে, আন্তর্জাতিক হাজার হাজার ব্র্যান্ডের ভিড়ে কয়জন মানুষ ওয়াল্টন ব্যবহার করে কেউ জানে? জেনে রাখুন বিশ্বের ২য় বৃহত্তম জিন্স ব্র্যান্ড এইচ এন্ড এম শুধুমাত্র বাংলাদেশ থেকেই বছরে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার মুল্যের পন্য নিয়ে থাকে, আজ আমরা যারা হলিউডের মুভি দেখে অভ্যস্ত তারা কয়জনে জানি এই সব নামীদামি সেলিব্রেটিরা বাংলাদেশ এর নাম কে এক্টি ব্র্যান্ড হিসেবে জানে? ফুটবল বিশ্বকাপে গ্রেড ওয়ান জার্সি , ন্যাটোরক্যামোফ্ লেজ ড্রেস থেকে শুরু করে ডিজেল, রিবক, নাইকি, পুমা কারা নির্ভর করে না এই দেশের টেক্সটাইল প্রোডাক্ট এর উপর? আর যারা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ কে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত করেছেন তারা এই দেশের ই টেক্সটইল ইঞ্জিনিয়ার রা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশ কে টেক্সটাইল সেক্টরের পরবর্তি চীন হিসেবে ঘোষনা করেছে।
                                                                                                                         Writter: Md:Masud Rana